পদুয়া ইউনিয়নঃ
মোগল আমলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম প্রচার করতে একদল পীর-আউলিয়া লোহাগাড়া উপজেলার বার-আউলিয়া নামক স্থানে এসে বিশ্রাম নেন। নামাজের সময় হলে তাঁরা একসাথে দলবেঁধে ওযু শুরু করতেন। ওযু করার সময় তাদের পা ধোয়া পানি নিচের দিকে গড়িয়ে যেত। তখন তাঁদের একজন প্রশ্ন করলেন, এ এলাকার নাম কী? অন্যরা জবাবে বলেন এ এলাকার নাম হবে পা ধোয়া। এই পা-ধোয়া থেকে পদুয়া নামকরণ হয় বলে জানা যায়। এর ইংরেজী শব্দ হবে Padua(বাংলা উচ্চারণ পাধোয়া) নামে হয়েছে। এই Padua বাংলা উচ্চারণ পদুয়া হয়। অন্য এক জনশ্রুতি মতে, পদুয়া শব্দটি পথ এবং দু’শব্দের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। পথ উর্দু শব্দ আর দু’ ফার্সী শব্দ। মোঘল আমলে যুদ্ধের সময় শত্রুদেরকে তাড়া করতে গিয়ে যুদ্ধরত সৈনিকরা দু’টি পথ দেখেন। তখন সৈন্যরা তাদের সেনাপতিকে বললেন পথ দু’ হয়েছে। পথ দু’ থেকে পদুয়া নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৯৪৬ সালের দিকে এ ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করা হয়। আয়তনঃ প্রায় ৬,৬৪০ একর। জনসংখ্যাঃ প্রায় ৫৫ হাজার। হাঙ্গর, লোনার ছড়া, গুইল্ল্যাছড়ি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য খাল ও ছড়া। শুরু থেকে যারা ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করে আসছেন- হাকিম বকসু চৌধুরী, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, কালিশংকর দাশ, সামশুল ইসলাম চৌধুরী, এড. হুমায়ুন কবির রাসেল, হামিদ হোসেন, আমিন উল্লাহ (ভারপ্রাপ্ত), ওমর ফারুক ও লিয়াকত আলী চৌধুরী।
পদুয়া ইউনিয়নে ৪টি মৌজার নাম ও আয়তন:
পদুয়া(১৩০৮ হেক্টর),
জঙ্গল পদুয়া(৬৮৪ হেক্টর),
ধলিবিলা(৫২৩ হেক্টর),
আঁধার মানিক(৩২৬ হেক্টর)
পদুয়া ইউনিয়নে:
মোট জনসংখ্যা ও ভোটার-৪০,৮৪২ জন ও ২৪,৪৭৯ জন।
পুরুষ জনসংখ্যা ও ভোটার-১৯,৮১৮ জন ও ১২,৬৬৭ জন।
মহিলা জনসংখ্যা ও ভোটার-২১,০২৪ জন ও ১১,৮১২ জন।
তথ্যসূত্রঃ ১। লোহাগাড়া ইতিহাস ও ঐতিহ্য বই, লেখকঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ;
২। ইন্টারনেট।