পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদঃ
পুঁটি ও বিলা দুটি শব্দ থেকে পুটিবিলা শব্দটি এসেছে। শাব্দিক দিক থেকে বুঝা যায় এলাকার বিলে পুঁটি মাছ পাওয়া যেত। এছাড়াও এলাকার তাঁতিপাড়ার উত্তর পাশে পুটির নালা নামে একটি খাল আছে। এ খালের পাশের বিলগুলোতে প্রচুর পরিমানে পুঁটিমাছসহ অসংখ্য ছোট মাছ পাওয়া যেত। খালে-বিলে পুটিমাছ পাওয়া যেত বলে এর নামকরণ পুটিবিলা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পুটিবিলা ইউনিয়নে রয়েছে বহু প্রাচীন স্থাপত্য ও নিদর্শন। মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান হিসেবেও এলাকাটি ইতিহাসের জীবন্ত সাক্ষী হয়ে আছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানিদের প্রতিহত করেন।১৯৬৭ সালের দিকে পুটিবিলা ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। আয়তনঃ ৪৪.২০ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যাঃ প্রায় ২৮ হাজার। ডলুখাল, সরই খাল, শুকছড়ি খাক, কংসখাল, সোনাইছড়ি, ধুইল্যা খাল, গাইনীর ঝিরি, কুলাংছড়া, পালংখাল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য খাল-ছড়া এই ইউনিয়নের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। জয়নাল আবেদীন চৌধুরী, মাষ্টার খায়ের আহমদ(ভারপ্রাপ্ত), সমশুল আলম চৌধুরী, আবুল কাশেম(ভারপ্রাপ্ত), আবদুল মোনাফ চৌধুরী, জয়নুল আলম চৌধুরী, আবু হানিফ চৌধুরী, ছরওয়ার কামাল (ভারপ্রাপ্ত) ও ফরিদুল আলম বিভিন্ন সময় অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করেন।
পুটিবিলা ইউনিয়নের ৪টি মৌজার নাম ও আয়তন:
পুটিবিলা(৯৭৭ হেক্টর),
পহর চান্দা(২০৬২ হেক্টর),
গৌড়স্থান(৫৬৪ হেক্টর),
সরইয়া(৮৫২ হেক্টর)।
পুটিবিলা ইউনিয়নের:
মোট জনসংখ্যা ও ভোটার-২৫,৭৮৩ জন ও ১৪,৬২৪ জন।
পুরুষ জনসংখ্যা ও ভোটার-১২,৪৪৪ জন ও ৭৩০৩ জন।
মহিলা জনসংখ্যা ও ভোটার-১৬,৯০২ জন ও ৭৩২১ জন।
তথ্যসূত্রঃ ১। লোহাগাড়া ইতিহাস ও ঐতিহ্য বই, লেখকঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ;
২। ইন্টারনেট।