উপজেলার চুনতী ইউনিয়নের অন্যতম প্রাচীনতম পরিবার “মিয়াজী পরিবার”। কেননা, ১৬৬০ সালের ১২ মে শাহ সূজা পরিবারবর্গ, সৈন্য-সামন্ত, আলেম-ওলামা ও অন্যান্য একান্ত অনুগামী নিয়ে চট্টগ্রাম হয়ে আরকান অভিমুখে যাত্রা করেন। চট্টগ্রাম হতে সাঙ্গু ও ডলু নদের দক্ষিণ প্রান্তে এসে জাহাজ চলাচল উপযোগী পানিপথ সমাপ্ত হলে চুনতীর বর্তমান কেন্দ্রীয় ঈদগাহ পাহাড় ও কবরস্থানের পাদদেশে নৌবহর নোঙ্গর করেন। এখানে শাহ্ সূজার সফরসঙ্গি ২২ আলেম-ওলামার মধ্যে বেশ কয়েকজন এ এলাকায় স্থায়ী বসবাস করেন। পরবর্তীতে সম্রাট শাহ্ জাহানের রাজদরবারের অন্যতম শিক্ষক ইব্রাহিম খন্দকার শাহ্ সূজাকে অনুসরণ করে রামু পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে ফিরে বাঁশখালীর খানখানাবাদে কিছুদিন অবস্থান করে বর্তমান চুনতী জামে মসজিদের উত্তর পাশে ঈদগাহ পাহাড়ে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেন বলে জানা যায়।
মিয়াজী বংশের আদিপুরুষ ছিলেন সুফী নছরতুল্লাহ। খ্রিষ্টীয় সতেরো শতকের শেষভাগে তিনি গৌড় থেকে এসে লোহাগাড়ার চুনতীতে বসবাস শুরু করেন। তিনি বড় মিয়াজী এবং তাঁর পুত্র হযরত শাহ্ শরীফ ছোট মিয়াজী নামে পরিচিত।
তথ্যসূত্রঃ লোহাগাড়া ইতিহাস ও ঐতিহ্য বই, লেখকঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
মিঞাজী/মিয়াজী পদবীর অর্থ কি জানেন, না জানা থাকলে জেনে নিন।
মিঞাজী/মিয়াজীঃ-
(মিঞা + জী ) = মিঞাজী
মিঞা/মিয়াঃ- মিঞা মুসলিম উচ্চ পদস্ত সামাজিক ব্যক্তিকে সম্বোধন করার জন্য ব্যবহৃত সম্ভ্রম সূচক শব্দ।
মিঞা ফার্সী শব্দ এর অর্থ হলো প্রভু,সর্দার,প্রধান ইত্যাদি।
জীঃ জী সম্মান সূচক শব্দ, এর অর্থ জনাব,সাহেব,
মহাশয় ইত্যাদি।
মিঞাজীঃ-
মিঞাজী পদবী মুসলীম সমাজে উচ্চ পদস্ত সর্বেসবা মর্যাদাশীল সামাজিক ব্যক্তিকে সম্বোধন করার জন্য ব্যবহৃত সম্ভ্রম সূচক শব্দ।
মিঞাজী অর্থ হলোঃ- মহাপ্রভু, সর্বোপ্রধান বা প্রধানজী,সর্দারে আলা ইত্যাদি।