“মহীয়সী নারীর অনন্য অবদান
এতীম মেয়েরা পাবে নিরাপদ স্থান”
চুনতির পুত্রবধু আমাদের সকলের প্রিয়জন মিসেস সুরাইয়া জান্নাতের অকৃত্রিম আন্তরিকতা ও এতীমদের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন স্বরুপ পরলোকগত শ্বাশুড়ি ও গর্ভধারিণী মায়ের নামে গত ১৪ আগষ্ট চুনতি ফাতেমা বতুল (রাঃ) মহিলা ফাজিল মাদরাসায় মহিলা এতীমখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। চুনতিতে এর আগে অসহায় মেয়েদের আশ্রয়ের জন্য কোন মহিলা এতীমখানা ছিলনা, মা বাবা হারা গরীব মেয়ে, স্বামীর কাছ থেকে তালাকপ্রাপ্তা গরীব মহিলার মেয়ে সন্তান ও একদম অসচ্ছল পরিবারের মেয়েদের থাকা, খাওয়া ও পড়াশুনার জন্য অত্যাধুনিক সূযোগ সুবিধা সংবলিত এই এতীমখানাটি হবে একটি মডেল এতীমখানা। প্রাথমিকভাবে তৃণমূলে স্বচ্ছ যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ৩০ জন এতীম মেয়ে নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে মহান আল্লাহর অশেষ রহমত হলে এর কার্য পরিধি বিস্তৃতি করা হবে। মা বাবার কাছে থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে এতীমদের ভালবাসার ও তাদের দূঃখ অনুভবের গুণটি পেয়েছেন বলেই চুনতির বুকে এই ব্যতিক্রমী স্নেহ নীড়টি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ক্ষমতা হল মানুষকে ভালবাসার ক্ষমতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, স্বার্থ সংক্রান্ত সংঘাত এসব আমাদের নিত্যদিনের সংবাদ। মানুষের প্রতি মানুষের স্নেহ মায়া মমতা কমছে এটা সবাই আবার এক বাক্যে মানছে। স্বার্থের পৃথিবীতে নিঃস্বার্থভাবে এতীম মেয়েদের বুকে আগলে রাখার এই দায়িত্ব সত্যিই আপ্লুত করল। এতীমদের মাথায় হাত বুলালে মহান আল্লাহ খুশি হন, আর তাদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিলে তার প্রতিদান কি হবে সেটা আমরা হয়ত কল্পনাও করতে পারবনা। মানুষকে এভাবে ভালবেসে যান, আপনার ছোঁয়ায় প্রশান্তি পাক শত অসহায় প্রাণ। মহান আল্লাহ নিঃস্বার্থ সব খেদমত কবুল করুন৷ মালিকের কাছেই উত্তম প্রতিদান কামনা করছি।
লেখকঃ লুৎফুর রহমান তুষার
উপদেষ্ঠা, লোহাগাড়াবিডি.কম